অনার্স অধ্যায়নরত কিংবা নতুন নতুন অনার্স শেষ করেছে এমন শিক্ষার্থীদের একটা কম প্রশ্ন হলো “চাকরি নাকি মাস্টার্স ” । আমাদের দেশে চাকরির বাজারের মিনিমাম যোগ্যতা ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে । যা থাকলেই মোটামুটি বাংলাদেশের বিসিএস থেকে শুরু করে সকল সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় । অপরদিকে কিছুক্ষেত্রে মাস্টার্স আলাদাভাবে গণ্য করা হয়।
অনার্স শেষে চাকরি
অনার্স শেষে প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চাকরির পিছনে ছুটে যায় । এটাই স্বাভাবিক কারণ প্রতিটা সরকারি চাকরিতে আবেদনের জন্য অনার্স পাশ করলেই যথেষ্ট।
আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন সে সরকারি চাকরি করবে এজন্য সরকারি সে চাকরি খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক । অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা অনার্স শেষ করেই সরকারি চাকরি পেয়ে গেছে সুতরাং মাস্টার্স না করলে আপনার আহামরি ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু আবার চাকরি পাবার পরে আপনি আপনার চাকরির সাথে যুক্ত পেশার ভিত্তিতে মাস্টার্স করতে পারবেন। উন্নত বিশ্বে যারা শিক্ষক কিংবা গবেষক হয় তারাই মূলত মাস্টার্স করে থাকে। সুতরাং মাস্টার্স না করে বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকরি প্রস্তুতি নেয়া ভালো সিদ্ধান্ত।
মাস্টার্স পরবর্তী চাকরি
মাস্টার্স এ পড়াশোনা পাশাপাশি আপনি চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন। আমাদের দেশে মোটামুটি মাস্টার্স যারা করে তাদের পড়াশোনা একটু সুথীল করে রাখা হয় যাতে একাডেমিক পড়াশোনা উপর চাপ টা কম পড়ে এর পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারে। অপরদিকে অনার্স শেষে করে সাথে সাথে সরকারি চাকরি পাবেন এটা ভাবাও বোকামি কারণ সরকারি চাকরিতে পদসংখ্যা খুবই নগণ্য এখানে ভাগের ব্যাপার কাছে । সরকারি চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। সেজন্য বিকল্প চিন্তা ভাবনা আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য ছুটতে হবে সেখানে আপনার একডেমিক সনদপত্রের মূল্যায়ন করা হয় বেশি এজন্য বেসরকারি চাকরিতে মাস্টার্স এর চাহিদা বেশি ।
পরিশেষে, আপনি স্নাতক শেষে চাকরি অথবা মাস্টার্স শেষে চাকরি করবেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি শুধু কিছু তথ্য তুলে ধরেছি যাতে আপনি আপনার সিদ্ধান্ত সহজেই নিতে পারেন ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
1 thought on “আগে চাকরি পরে মাস্টার্স”