“খয়রাতি” শব্দটি মুলত বরিশালের একটি আঞ্চলিক ভাষা। বরিশালীয় ভাষায় এর অর্থ ফকির ,মিসকিনকে ভিক্ষা দেয়া । কথায় কথায় বরিশাল অঞ্চলের লোকেরা যদি অন্য কারে কাছ থেকে কোন কিছু পেয়ে থাকে যদি তার পরিমাণ খুব নগণ্য হয়ে থাকে তাহলে বলে তোরে “খয়রাতি” দিয়েছি।
আসল খয়রাতি শব্দের সঠিক আভিধানিক অর্থ হলো ‘দানরূপে প্রাপ্ত’ অথাৎ কারে দানে বা দয়ায় পাওয়া যায় এমন কিছুকেই “খয়রাতি” বলা হয় ।এটি নেতিবাচক অর্থে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।কোন জিনিসের অবমূল্যায়ন বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাকেই “খয়রাতি”বলা যেতে পারে ।
উদাহরণস্বরূপ: বাংলাদেশে যদি ভারতের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নেয় তাহলে সেই সাহায্য সহযোগিতাতাকে “খয়রাতি” বলে অভিহিত করা যেতে পারে ।তাহলে এই সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রাপ্য বলে বিবেচিত করা হবে না ।
বাংলাদেশে সম্প্রতি চীন সরকারে থেকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাকে ভারতীয় গণমাধ্যমে “খয়রাতি” বলে উল্লেখ করেছিলো । এই ক্ষেত্রে “খয়রাতি” শব্দটি ব্যবহার করাকে অনেকেই আপত্তিকর বলে মনে করেছিলেন।
nice content!nice history!! boba 😀