এনানসিওমারারের সমমোলার মিশ্রনকে রেসিমিক মিশ্রন বলে।
এনানসিওমার (Enantiomer): যে আলোক সমাণুদ্বয় সমাবর্তিত আলোর তলকে একই মাত্রায় অর্থাৎ একই আবর্তন
কোণে পরস্পর বিপরীত দিকে আবর্তন করে, তাদেরকে পরস্পরের এনানসিওমার বলে। এদেরকে এনানসিওমর্ফ (enantiomorphs), অ্যান্টিপড (antipodes) বা অ্যান্টিমার ও (antimers) বলা হয়। এ ধরণের আলোক সক্রিয়তাকে এনানসিওমারিজম (enantiomerism) বলে। যেমন, d-ল্যাকটিক অ্যাসিড ও-ল্যাকটিক অ্যাসিড এক-সমতলীয় আলোক তলকে 2.24° কোণে যথাক্রমে ডানে ও বামে আবর্তন করে। অর্থাৎ d-ল্যাকটিক এসিডের আবর্তন মাত্রা +2.24° ও/-ল্যাকটিক এসিডের আবর্তন মাত্রা- 2.24″। তাই এ দু’টো পরস্পরের এনানসিওমার।
রেসিমিক মিশ্রন (Recemic mixture) : দু’টি এনানসিওমার এক-সমতলীয় আলোর তলকে সমান কৌনিক দূরত্বে
বিপরীত দিকে ঘুরায়। তাই d-সমাণু ও।-সমাণুর সমমোলার মিশ্রণ পরস্পরের বিপরীত ঘূর্ণন ক্রিয়াকে বিনষ্ট করে থাকে। d-ও /-সমাণুর সমমোলার মিশ্রণকে রেসিমিক মিশ্রণ বলে। এ প্রক্রিয়াকে রেসিমিকরণ (recemization) বলে। d- ল্যাকটিক অ্যাসিড ও-ল্যাকটিক এসিডের সমমোলার মিশ্রণ একটি রেসিমিক মিশ্রণ।
ডায়াস্টেরিওমার (Diastereomer): দুই বা ততোধিক ত্রিমাত্রিক সমাণু যখন একে অন্যের দর্পণ প্রতিবিম্ব হয় না তখন তাদের ডায়াস্টেরিওমার বলে। যেমন, 3-ক্লোরোবিটানল-2 এর 4 টি আলোক সমাণু আছে।
মেসো যৌগ (Messo compound): দু’টি একই অপ্রতিসম কার্বন পরমাণুবিশিষ্ট যৌগের ক্ষেত্রে এমন একটি আলোক নিষ্ক্রিয় সমাণু পাওয়া যায়, যার অণুর মধ্যে প্রতিসম তল বর্তমান। এ প্রতিসম তলের উপরের অর্ধাংশের আলোর আর্বতন বা ঘূর্ণনের মান এবং নিচের অর্ধাংশের আলোর আর্বতন বা ঘূর্ণনের মান এক কিন্তু দিক সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে এক সমতলীয় আলোর সামগ্রিক আর্বতনের মান শূন্য হয়ে যায়। এ জাতীয় যৌগকে মেসো যৌগ বলে। এরূপ যৌগের এক অংশ তার অপর অংশের আবর্তন মাত্রা প্রশমিত করে। ফলে যৌগটির আবর্তনমাত্রা শূন্য হয়। যেমন- টারটারিক অ্যাসিড
#রেসিমিক মিশ্রন