বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য 

0
(0)

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য 

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য।

উন্নত জীবনযাপন এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবার জন্য আমরা আমেরিকা যাবার জন্য চেষ্টা করে থাকি। আমেরিকা ভ্রমণ কিংবা কোনো অনলাইন ক্লায়েন্টের কাজ করার জন্য আমেরিকা সময় সম্পর্কে জানা জরুরী। আজকে আমরা আমেরিকা  ও বাংলাদেশ সময় পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

আমেরিকার টাইম জোন গুলো –

  1. Eastern Standard Time (EST): UTC -5 
  2. Central Standard Time (CST): UTC -6 
  3. Mountain Standard Time (MST): UTC -7
  4. Pacific Standard Time (PST): UTC -8 
  5. Alaska Standard Time (AKST): UTC -9 
  6. Hawaii-Aleutian Standard Time (HAST): UTC -10

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হলো বাংলাদেশের একমাত্র টাইমজোন । পুরো বাংলাদেশে একটাই টাইম হয়ে থাকে। কিন্তু আমেরিকায় ৬ টি টাইম জোন এজন্য প্রদেশ বা অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা সময় হয়ে থাকে।বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য জানতে হলে এগুলো খুবই দরকারি ।আমেরিকার টাইমজোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –

1.Eastern Standard Time (EST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১১ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১০ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন জর্জিয়াতে সকাল ১০টা, তখন ঢাকায় রাত ৯টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে জর্জিয়াতে সকাল ১০ টা হলে ঢাকায় সন্ধ্যা ৮ টা বাজবে।

2.Central Standard Time (CST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১২ ঘন্টা  এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১১ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন আলাবামাতে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ৯টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে আলাবামাতে  সকাল ৯টা হলে  ঢাকায় রাত ৮টা বাজবে।

3.Mountain Standard Time (MST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১২ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন ডেনভারে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ১০টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে ডেনভারে সকাল ৯টা হলে  ঢাকায় রাত ৯টা বাজবে।

4.Pacific Standard Time (PST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৪ ঘন্টা  এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন লস এঞ্জেলেসে সকাল ১০ টা, তখন ঢাকায় রাত ১২টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে লস এঞ্জেলেসে  সকাল ১০টা হলে  ঢাকায় রাত ১১টা বাজবে।

5.Alaska Standard Time (AKST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৫ ঘন্টা  এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন আনকোরেজে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ১২টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে আনকোরেজে ৯টা হলে ঢাকায় রাত ১১টা বাজবে।

6.Hawaii-Aleutian Standard Time (HAST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৬ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৫ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ, যখন হাওয়াইতে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ২টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে হাওয়াইতে ৯টা হলে ঢাকায় রাত ১টা বাজবে।

ডে-লাইট সেভিংস টাইম

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্যের জন্য অবশ্যই জানতে যে ,আমেরিকায় মাচ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৯ মাস ডে-লাইট সেভিংস টাইম পালন করা হয়ে থাকে। এসময় ১ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় যোগ করে হিসাব করতে হবে। বাংলাদেশের টাইমের সাথে ১ ঘন্টা কমিয়ে হিসাব করা হয়। কিন্তু জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর মাসে নরমাল টাইম হিসাব করা হয় ।

আরো জানুন:

How club how many time win mls championship in usa 2024

বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সময়ের পার্থক্য এত কেন?

আমেরিকার অবস্থান বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম অবস্থিত টরন্টো (আমেরিকা ) থেকে ঢাকা (বাংলাদেশ) এর সরলরেখার দূরত্ব প্রায় ১৩,২১৯ কিলোমিটার । পৃথিবী যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবীর যেই অংশ সূর্যের নিকটবর্তী হবে সেই অংশে দিন ও রাত  আগে হবে ঠিক এমনটাই হয় আমেরিকার ক্ষেত্রে। যেহেতু দুরত্ব বেশি সেজন্য সময় ব্যবধান বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় বিমানে যেতে সময় লাগে ২-৩ দিন ।

উপসংহার : বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো টাইমজোন এবং দিবারাত্রির বিষয়টা । কারণ ভ্রমণ, যোগাযোগ, ব্যবসা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য  এই পোস্টটি লিখতে কয়েকটি ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে । অবশ্যই যাদের তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করার ফলে এই পোস্টটিকে(বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য ) পূন্যতা দেয়া সম্ভব হয়েছে । পোস্টটি আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করুন যাতে তারাও বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময় পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারে। ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.